বি. এম. জুলফিকার রায়হান: অ্যাওসেড‘র উদ্যোগে, কেয়ার বাংলাদেশের সহযোগিতায় সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় খুলনায় হোটেল ওয়েস্টার্নইন-এ জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন ও বীমা সংক্রান্ত নীতিমালার এ্যাডভোকেসী বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন পেশায় কর্মরত ব্যক্তিবর্গ, নাগরিক সমাজ, উন্নয়নকর্মী, সাংবাদিক ও এনজিও কর্মী উপস্থিত ছিলেন। অ্যাওসেড’র নির্বাহী পরিচালক শামীম আরেফীন কর্মশালার শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন কৃষিবিদ অধ্যক্ষ ড. এস.এম ফেরদৌস।
কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুয়েটের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি রায়, খুলনা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রিফাত জাহান উষা, পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম, কেয়ার বাংলাদেশ’র হিউম্যানিটিরিয়ান এন্ড ক্লাইমেট একশন প্রোগ্রাম’র ডেপুটি ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় দাস, তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম. মফিদুল হক লিটু, মৃত্তিকা উন্নয়ন সম্পদের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সামছুর নাহার রত্না, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি আবু হেনা মোস্তফা জামান পপলু, কালের কণ্ঠ (খুলনার) স্টাফ রিপোর্টার কৌশিক দে বাপী, সাতক্ষীরা নাগরিক নেতা মাধব চন্দ্র দত্ত, দেশ টিভি সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, ঢাকা ট্রিবিউন এর প্রতিনিধি মো. হেদায়েতুল্লাহ, তালা উপজেলা ম্যাপ সদস্য সচিব সাংবাদিক জুলফিকার রায়হান, কেয়ার বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কো-র্ডিনেটর হিমাদ্রি শেখর মণ্ডল প্রমুখ।
সভায়- বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল) বিদ্যুৎ কুমার সাহা ও অ্যাডভোকেট এম. হাফিজুল ইসলাম খান ইন্টারন্যাশনাল ম্যাকানিজম ফর লস এন্ড ড্যামেজ এর দুটি প্রেজেনটেশন উপস্থাপন করেন। এর উপর ভিত্তি করে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে থাকা বিপদাপন্ন উপকূলীয় জনগোষ্ঠী ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ায় জলবায়ু অর্থায়নের দাবিসমূহ চিহ্নিত ও যৌক্তিকতা বিশ্লেষনপূর্বক অ্যাডভোকেসী কৌশল নির্ধারণ বিষয়ে গ্রুপ ওয়ার্ক করা হয় ।
সভায় অ্যাওসেড’র উপ-প্রথান নির্বাহী পরিচালক হেলেনা খাতুন, লার্নিং এন্ড অ্যাডভোকেসি অফিসার বাহালুল আলম ও ফিল্ড অফিসার চায়না দাস সহ বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি, কৃষিবিদ, অ্যাকাডেমিয়া, সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও কর্মী, সিএসও এবং সমাজকর্মীরা দলীয় কাজের মাধ্যমে তাদের মতামত প্রদান করেন।