সাতক্ষীরা ভোর ৫:৩৪ শুক্রবার , ২৩ মে ২০২৫
  • ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ২৪শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
    1. অর্থনীতি
    2. আইসিটি
    3. আন্তর্জাতিক
    4. আশাশুনি
    5. উপকূল
    6. কলাম
    7. কলারোয়া
    8. কালিগঞ্জ
    9. কৃষি
    10. খুলনা
    11. খেলার খবর
    12. জাতীয়
    13. জেলার খবর
    14. জ্বালানি
    15. তালা
    https://shoyaibenterprise.com/
    আজকের সর্বশেষ সবখবর

    নতুন ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা: উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে লোকালয়, কী করবেন জেনে রাখুন

    Editor
    মে ২৩, ২০২৫ ১০:৫৭ অপরাহ্ণ
    Link Copied!

    ✍️ আহসান রাজীব

    চলছে ঘূর্ণিঝড় মৌসুম। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস বলছে, চলতি মে মাসের শেষ সপ্তাহে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হতে পারে ‘মন্থা’, যা ওড়িশা-মায়ানমার উপকূলের মধ্যবর্তী এলাকায় আঘাত হানতে পারে। তবে এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে, বিশেষ করে উপকূলীয় জেলা সমূহে।

    বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে সাতক্ষীরা, খুলনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় এলাকার বিস্তীর্ণ লোকালয় প্লাবিত হতে পারে।

     

    কেন ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাস ঘটে?

    ঘূর্ণিঝড় যখন কোনো উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে, তখন তার কেন্দ্রীয় নিম্নচাপ ও প্রবল বায়ুর তোড়ে সাগরের পানি উপকূলের দিকে ধাবিত হয়। এর ফলে সৃষ্টি হয় জলোচ্ছ্বাস—যা অনেক সময় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়েও ৫-১৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনে ভেসে যায় ঘরবাড়ি, মাঠঘাট, মানুষ ও গবাদিপশু।

     এই পরিস্থিতিতে কী করবেন?

    ঘূর্ণিঝড়ের আগেই প্রস্তুতি নিন:

    ভিটা উঁচু করুন – যাদের ঘর নিচু জমিতে, তারা সম্ভব হলে মাটি ফেলে উঁচু করার চেষ্টা করুন।

    দুর্যোগ সহনশীল ঘর বানান – টিনের চেয়ে পাকা বা বাঁশ-মাটির টেকসই ঘর বেশি নিরাপদ।

    বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করুন – বিশুদ্ধ পানির অভাব ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

    শুকনো খাবার মজুত রাখুন – চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট, খাবার স্যালাইন, বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সঙ্গে রাখুন।

    গবাদিপশুর আশ্রয় নিশ্চিত করুন – পোষা প্রাণীদেরও নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে।

    আশ্রয়কেন্দ্র চিহ্নিত করুন – পরিবার নিয়ে কোথায় যাবেন, সেই পরিকল্পনা আগে থেকেই করে রাখুন।

    বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের প্রস্তুত রাখুন – শিশু, গর্ভবতী নারী, প্রতিবন্ধী, অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য আলাদা প্রস্তুতি নিন।

     সতর্ক সংকেত পাওয়ার পর করণীয়:

    স্থানীয় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের কথা শুনুন এবং তাদের নির্দেশনা মেনে চলুন।

    রেডিও, টেলিভিশন বা ১০৯০ নম্বরে ফোন করে নিয়মিত আবহাওয়া বার্তা শুনুন।

    প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যাংক ডকুমেন্ট, জমির দলিল) সুরক্ষিত স্থানে রাখুন।

    শিশুদের জন্য খাবার, ওষুধ ও পোশাক সাথে নিন।

    টর্চ, মোমবাতি, দিয়াশলাই, চার্জার ইত্যাদি সঙ্গে রাখুন।

     ঘূর্ণিঝড়ের পর করণীয়:

    পরিবারে নিখোঁজ সদস্য থাকলে স্থানীয় সিপিপি বা প্রশাসনের সহায়তা নিন।

    পানির উৎস, টয়লেট ও ঘরবাড়ি পরিষ্কার করুন।

    বিশুদ্ধ পানি না পেলে ফুটিয়ে পান করুন বা ফিটকিরি ব্যবহার করুন।

    মানসিক চাপে থাকলে স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা নিন।

    সরকারি-বেসরকারি সাহায্য পেতে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করুন।

     গুরুত্বপূর্ণ নম্বর:

    • দুর্যোগ বার্তা: ১০৯০

    • নারী ও শিশু সহিংসতা প্রতিরোধ হটলাইন: ১০৯

    • জরুরি সেবা: ৯৯৯

    • স্থানীয় চেয়ারম্যান/মেম্বার ও সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের নম্বর সংরক্ষণ করে রাখুন।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।