তালা প্রতিনিধি: খুলনা জেলা ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মাহফুজ চৌধুরীর বিরুদ্ধে যানবাহনের কাগজপত্র তল্লাশি, ওভারলোড চেকিং, যানবাহন রিকুইজিশন, অবৈধ মালামাল পরিবহনের নামে ব্যাপক চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে। চাঁদার টাকা না দিলে যানবাহনের চালকদের অপদাস্থ সহ নানাভাবে হয়রানী করা হয় বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী একাধিক ব্যক্তি জানান, খুলনা ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মাহফুজ চৌধুরী (বিপি নং-৬৭৯৪০১১২১৯০ সম্প্রতি খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ডুমুরিয়া এলাকায় চেকিংএ বসেন। ওই সময়ে ওই সড়কে যাতায়াতকারী যানবাহন মালিকদের ব্যপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
তালার মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বলেন, তিনি তার অসুস্থ্য স্ত্রীকে নিয়ে মটরসাইকেলযোগে খুলনায় ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলেন। এসময় ট্রাফিক সার্জেন্ট মাহফুজ ওই মটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু মিজানুর রহমান ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হলে একপর্যায়ে তার কাছে মাহফুজ চৌধুরী তার ব্যক্তিগত বিকাশে ২ হাজার টাকা ঘুষ দিতে বলেন। কিন্তু মিজানুর রহমান ঘুষের টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে স্ত্রীর সামনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ অপদাস্থ করা হয়। সে সময় মিজানুর রহমান অপদাস্থ করা সহ ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি উর্দ্ধতন পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করার কথা জানালে ঘুষখোর ট্রাফিক সার্জেন্ট মাহফুজ তখন তড়িঘড়ি করে মিজানুর রহমানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আসাদুজ্জামান রাজু নামের এক ব্যক্তি বলেন, গত ১৯ আগস্ট দুুপরে ওই সার্জেন্ট মাহফুজ তার পিকাপ আটকিয়ে রিকুইজিশনের কথা বলে। এসময় পিকাপের চালক কি জন্য রিকুইজিশন জানতে চাইলে সার্জেন্ট মাহফুজ কোনও সদুত্তর না দিয়ে ২ হাজার টাকা দাবী করে। এসময় চালক ১ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে মুক্ত হন। এভাবে সেদিন বহু গাড়ির চালকের কাছ থেকে ১/২ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নেন।
সার্জেন্ট মাহফুজ চৌধুরী এদিন খুলনা থেকে সাতক্ষীরা বা পাইকগাছা সড়কে যাতায়াতকারী মটরসাইকেল বা অন্যান্য যানবাহানের ওভারলোডিং, অবৈধ মালামাল বহনম রিকুইজিশন বা কাগজপত্র দেখার কথা বলে হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন বলে অভিযোগ আছে। আর এই চাঁদার অধিকাংশ টাকা তিনি একটি বিকাশ নাম্বারের মাধ্যমে নেন। ট্রাফিক সার্জেন্ট মাহফুজ চৌধুরীর এই চাঁদাবাজী ও ঘুষ বানিজ্য’র ঘটনায় ক্ষুব্ধ যানবাহন চালকরা ঘটনার তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন পুলিশ প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
