রজনী রহমান: সাতক্ষীরা দীর্ঘদিন ধরেই সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রায় তিন লাখ মানুষের একমাত্র সরকারি চিকিৎসার ভরসাস্থল হিসাবে। সময়ের সাথে সাথে বদলে গেছে প্রেক্ষাপট। কিন্ত বদলায়নি স্বাস্থ্য সেবা কর্মসূচী। প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষের বসতি কালিগঞ্জ উপজেলায়, ১২ টি ইউনিয়নের সহায় অসহায় মানুষের আস্হার স্হান হতে পারত কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু হিতে বিপরীত হওয়ায় জনমনে বাড়ছে ভোগান্তি। নেই অভিজ্ঞ ডাক্তারের নিয়োগও। গত কয়েক দশকে কোনো নতুনত্বের ছোয়াও যোগ হয়নি এই উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে, বিশেষ করে প্যাথলজি বিভাগে। কিছু যন্ত্রপাতি থাকলেও তা পরিত্যাক্ত অবস্হায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বর্হিবিভাগ, ও প্যাথলজির মধ্যে রয়েছে সীমিত সেবা, যেখানে রয়েছে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অভাব, নানান রোগের রুগীদের হতে হয় হয়রানি। প্যাথলজি বিভাগে কয়েক রকমের রক্ত ও ইউরিন পরিক্ষা ছাড়া বিশেষ কোনো পরিক্ষা নিরাক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের ছুটতে হয় বেসরকারী ডায়াগনেস্টিক ক্লিনিক গুলোতে, গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, উপজেলাটিতে ছোট বড় অপারেশন, সিজার, অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর মতো ছোট ছোট প্রয়োজনেও অস্হার জায়গা হতে পারেনি উপজেলা হাসপাতালটি। হাড় ভাঙা, হাড়ে চোট, এমন কি গুরুতর কাটা ছেড়ার চিকিৎসা দিতেও ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছে জরুরি বিভাগ।
এ নিয়ে জনমনে দুশ্চিন্তার কালো ছাড়া নেমে এসেছে। স্হানীয়দের দাবি, মানসম্মত চিকিৎসা, অভিজ্ঞ ডাক্তার মোতায়ন, সুচিকিৎসা নিশ্চিৎকরন ই হতে পারে আমাদের আশার আলোর সঞ্চার। গরিবের আত্মচিৎকার, অসহায়ের মনবতার জীবন এমনকি ভুক্তভুগির আর্তনাদ কে বলি দিতে উপর মহলের সুদৃষ্টি ই বদলে দিতে পারে প্রেক্ষাপট।
এ বিষয় উপজেলা সিভিল সার্জন আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, আমাদের জরুরি ভিত্তিতে ভালো মানের ডাক্তার নিয়োগ প্রয়োজন সেই সাথে কিছুটা সময় চেয়ে নিচ্ছি। আমরা মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে কার্যক্রম চলমান আছে। এবং আমরা মন্ত্রনালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।তথাপি অস্রপচারের যন্ত্রপাতি কেনার জন্য সিএমএসডি তে চিঠি প্রেরন করা হয়েছে। একই সাথে তিনি অভিমত জানিয়েছেন জনগনের উদ্দ্যোশ্যে, জনবল ও যন্ত্রপাতি একই সাথে থাকলেই খুব দ্রুতই এই কার্যক্রম শুরু হবে।
হাসপাতালটিতে আধুনিক ল্যাব সেবা, জরুরি ভিত্তিতে অভিজ্ঞ ডাক্তার মতায়ন করলে সকল রুগিদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা নিশ্চিৎকরন সম্ভব।জরুরি বিভাগে উন্নত সেবা নিশ্চিত এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করা প্রয়োজন। ডাক্তারের লেখা ঔষধের সিংহভাগ ই বাইরে থেকে কিনতে রোগিদের নাস্তানাবোধ অব্স্হা।অপারেশন থিয়েটার চালুকরন, এবং অতিব জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রপচারের আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রয়োজন।
অত্যান্ত দুঃক্ষ জনক ভাবে, হাসপাতালটিতে অল্প সংখ্যক ডাক্তার থাকলেও, বেশির ভাগ পরিক্ষা নিরিক্ষার জন্য যেতে হয় ক্লিনিক গুলোতে। হাসপাতালের এমন নাজেহাল দশা, রোগীদের ভোগান্তির শীর্ষে। রোগীর আস্হার জায়গা হতে, উপজেলাবাসীর দাবী হাসপাতাদের জরুরি সংস্কার। ৫০ সয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে আধুনিকায়নের সামান্য ছিটেফোটাও না থাকায়, উন্নত চিকিৎসা নিতে ছুটতে হয় জেলা সদর -থেকে রাজধানীতে। এমন প্রতিকুলতা ভাঙতে সোচ্চার হওয়া জরুরি স্বাস্থ্য বিভাগের।
