নিজস্ব প্রতিনিধি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তৎপরতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাতক্ষীরা-২ আসনের রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম হয়ে উঠেছে। এ আসনে দীর্ঘদিন ধরে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছেন দেবহাটা উপজেলা ও সাতক্ষীরা সদর এলাকার কৃতি সন্তান শফিকুল ইসলাম শাহেদ। প্রশাসন, শিক্ষা ও গ্রামীণ উন্নয়নে তার অবদান তাকে এক অভিজ্ঞ ও জনবান্ধব নেতার মর্যাদা দিয়েছে। এবার তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে সাতক্ষীরা-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
শফিকুল ইসলাম শাহেদের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুদু-রিপন প্যানেল থেকে সাহিত্য সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছেন। ছাত্র জীবনে তার নেতৃত্ব, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং জনসেবার মনোভাবই ভবিষ্যতের জন্য তার দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করে।
ছাত্র রাজনীতির ধাপ পেরিয়ে তিনি জাতীয় প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক সংসদ উপনেতা এবং রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব হিসেবেও তার দক্ষতা এবং দূরদর্শিতা কার্যকরভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই পদগুলোতে কাজ করার সময় তিনি প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে জনগণের চাহিদা পূরণের কলাকৌশল ও নীতি নির্ধারণের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি ঢাকা এমিনেন্স কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষানুরাগী হিসেবে তিনি নতুন প্রজন্মকে মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।
গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর সাধারণ পরিষদের সম্মানিত বোর্ড সদস্য হিসেবে গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অবদান রাখছেন। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার কাজ স্থানীয় জনসাধারণের কাছে উচ্চমানের প্রতিফলন ঘটিয়েছে।
শফিকুল ইসলাম শাহেদ দেবহাটা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পারুলিয়া সরদার বাড়ির সন্তান। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সমাজে সুপরিচিতি এবং পারিবারিক মর্যাদা তাকে এলাকাবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য করেছে। বিভিন্ন মহল থেকে ইতোমধ্যেই তার সাতক্ষীরা-২ আসনের এমপি প্রার্থী হিসেবে সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রশাসনিক দক্ষতা, শিক্ষাক্ষেত্র ও গ্রামীণ উন্নয়নে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং জনসেবার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার শফিকুল ইসলাম শাহেদকে এই আসনের জন্য একটি শক্তিশালী ও যোগ্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা দেখার জন্য স্থানীয় জনসাধারণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
