আদালতে নেওয়ার প্রাক্কালে প্রিজম ভ্যানে বন্দী উত্তরার সাংবাদিক রাসেল খানের আর্তনাত শুনেছে কী কেউ? দেখেছে কী তার কান্না? এ চিত্র দেখে তার তিন সন্তানই বলে উঠেছে, ’প্লীজ বাবা , সাংবাদিকতা ছাড়ো- অন্য কোনো চাকরি করো, না হয় ব্যবসা ধরো- তোমাকে আমরা হারাতে চাই না বাবা।’
আহারে সাংবাদিক, আহারে দুর্ভাগ্যের সাংবাদিকতা। সাত জনমের পাপমোচন করতেই বুঝি এই পেশাটিতে পা বাড়ায় সবাই। একবার সৌখিনতার বশে সাংবাদিকতা শুরু করলে আর তার নিস্তার নাই। কী এক অজানা মোহে আটকে পড়তেই শুরু হয় অনিশ্চিত জীবন, পাল্লা দিয়ে চলতে থাকে কষ্ট যন্ত্রণা।
সাংবাদিকতায় পা ফেলতেই একজন তরুণ প্রথমেই হারায় তার স্বজন পরিজন। আত্মীয়দের বিয়ে-শাদী সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে সবাই হাজির হলেও কোনো না কোনো কারণে সাংবাদিক পৌঁছাতে পারে না, পৌঁছানো হয় না তার। আর্থিক সংগতিও আহামরি না থাকায় অবজ্ঞা অবহেলার শিকার হন নিজ পরিবারেও। অগত্যা তার বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায় আরেকজন সাংবাদিক, সহকর্মী বন্ধুরা।
একজন সাংবাদিকের সকল অবস্থা আরেকজন সাংবাদিকই কেবল বুঝতে পারেন, তার কষ্ট যন্ত্রণায় শান্তনা দেয়ার জন্য পাশে দাঁড়াতে পারেন। দিন-রাতের কমবেশি ১৮টি ঘন্টা একসঙ্গে কাটানো সেই সাংবাদিক বন্ধুদের যখন শত্রু হয়ে দাঁড়ায়, পরিস্থিতি হয় বড়ই ভয়ংকর।
উত্তরায় সাংবাদিক রাসেল খান ঠিক তেমনি দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছেন। নিজ পেশার সহকর্মী ভাই- বন্ধুরাই নানা কুটকৌশলে রাসেলকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন- এ কষ্ট তিনি কাকে জানাবেন? নিজেও কি মেনে নিতে পারছেন? তার চোখের পানিতে আস্তিন ভিজেছে, কথা বলতে চাইলেও আটকে গেছে কন্ঠ, দম বন্ধ পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন।
আজ আদালতে নেওয়ার প্রাক্কালে প্রিজন ভ্যানে বন্দী রাসেল খানের আর্তি শুনেছে কী কেউ? দেখেছে কী তার কান্না? এ চিত্র দেখে তার তিন সন্তানই বলে উঠেছে, ’বাবা প্লীজ, সাংবাদিক ছাড়ো- অন্য কোনো চাকরি করো, না হয় ব্যবসা করো- তোমাকে আমরা হারাতে চাই না বাবা।’
এমন রাক্ষুসে সাংবাদিকদের কাছে সারাদেশে আরো কত শত সাংবাদিক এহেন দুর্ভাগ্যের পরিণতি ভোগ করছেন তার হিসাব কে-ই-বা রাখে???
লেখক: সংগৃহিত
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।