সাতক্ষীরা ভোর ৫:১৯ বুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১৭ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
    1. অর্থনীতি
    2. আইসিটি
    3. আন্তর্জাতিক
    4. আশাশুনি
    5. উপকূল
    6. কলাম
    7. কলারোয়া
    8. কালিগঞ্জ
    9. খুলনা
    10. খেলার খবর
    11. জাতীয়
    12. জেলার খবর
    13. জ্বালানি
    14. তালা
    15. দেবহাটা
    https://shoyaibenterprise.com/
    আজকের সর্বশেষ সবখবর

    দেবহাটায় বাগদা চিংড়ি ভাগ্য ফেরালো আনারুলের

    mir khairul alam
    ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫ ৬:৩৩ অপরাহ্ণ
    Link Copied!

    শেখ মাহতাব হোসেন: ২০২৪ উৎপাদন বছরে দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের রাঙ্গাশিসা গ্রামের আহসানিয়া ফিস খামার বাগদা চাষে অভাবনীয় সফলতা দেখিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের রাঙ্গাশিসা গ্রামে আহছানিয়া ফিস খামার নামে বাগদা চিংড়ি খামারের কার্যক্রম চলমান আছে যার মালিক জনাব আনারুল, পিতাঃ জবেদ আলী মোড়ল, মাতাঃ আলেয়া বেগম, গ্রাম: পূর্ব নলতা, ডাকঘর: নলতা মোবারক নগর। তার খামারটি মুলতঃ ১২ টি পুকুর সম্বলিত , খামারের মোট আয়তন ৯.০০ হেক্টর যার জলায়তন ৪.৮০ হেঃ। এটি একটি আধানিবিড় বাগদা চিংড়ি খামার। চাষকালে তিনি উপকুলীয় পরিবেশগত বিষয়াদি বিবেচনায় রেখে পরিবেশ বান্ধব খামার পরিচালনা করছেন। তিনি চিংড়ি চাষে সরকার অনুমোদিত বৈধ উপকরন ব্যবহার করে থাকেন। চিংড়ি উৎপাদনে তিনি কখনো গ্রোথ হরমোন বা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন না। সম্পুরক খাদ্য হিসাবে তিনি সর্বদা সিপি বা অবন্তি কোম্পানির মানসম্মত ফিড ব্যবহার করেন। মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দপ্তর সূত্রে জানা যায় উক্ত খাদ্য নমুনায়ন করে এ পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন গ্রোথ হরমোন বা এন্টিবায়োটিক পাওয়া যায়নি। চিংড়ি নমুনায়ন করেও এ পর্যন্ত কোন গ্রোথ হরমোন বা এন্টিবায়োটিক/কীটনাশক/নিষিদ্ধ কোন ক্যামিক্যাল পাওয়া যায়নি। ঘের প্রস্তুতকালীন তিনি কোন নিষিদ্ধ কোন ক্যামিক্যাল ব্যবহার করেন না যা পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। ২০২৪ উৎপাদন বছরে খামারের ৪.৮০ হেক্টর জলাশয়ের ১২ টি পুকুরে ৬১.২৫ মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদন করেন। অর্থাৎ হেক্টর প্রতি ১২.৭৬ মে. টন বাগদা চিংড়ি উৎপাদন করেছেন। প্রতি হেক্টরে ব্যয় করেছেন ৭০.৮৩ লক্ষ টাকা, আয় করেছেন ১০৯.৩৮ লক্ষ টাকা, ফলে হেক্টর প্রতি তিনি লাভ করেছেন ৩৮.৫৪ লক্ষ টাকা, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সাড়া জাগানো খবর। এ ধরনের আধা নিবিড় পদ্ধতি অনুসরন করে আশপাশের অনেক বাগদা চিংড়ি চাষি বাগদা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন ফলে আধা নিবিড় বাগদা চিংড়ির খামার সম্প্রসারিত হচ্ছে। দেবহাটা উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো: আবুবকর সিদ্দিক বলেন উপজেলায় বর্তমান ৩ টি আধানিবিড় বাগদা খামার রয়েছে। আধানিবিড় খামার বাড়ানোর জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে কারন সনাতন পদ্ধতিতে যেখানে হেক্টর প্রতি মাত্র ৩৫০ কেজি বাগদা উৎপাদিত হয় সেখানে আধানিবিড় পদ্ধতিতে হেক্টর প্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার কেজি বাগদা উৎপাদন সম্ভব। উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা যায় দেবহাটা উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর আয়তনের ৭৭৫ টি গলদা ঘের রয়েছে যার উৎপাদন ৮৮৯ মে.টন ও ৮৮৯৩ হেক্টর আয়তনের ৭৪৬৯ টি বাগদা চিংড়ি ঘের রয়েছে যার উৎপাদন ৩৩৯০ মে.টন। অন্যদিকে মাত্র ১১ হেক্টর আয়তনের ৩ টি আধানিবিড় বাগদা খামার রয়েছে যার উৎপাদন ১৪৩ মে.টন। দেবহাটা উপজেলায় মাছের ৪৯৩৩ মে. টন চাহিদার বিপরীতে ১০৪৮১ মে.টন মাছ উৎপাদিত হয়। অর্থাৎ ৫৫৪৮ মে.টন মাছ বেশি উৎপাদিত হয়। মাছ ও চিংড়ি চাষে সমৃদ্ধ এ উপজেলা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানিতেও ভূমিকা রাখছে।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।