তালা প্রতিনিধি: বাংলাদেশে জন্ম ও পেশাগত পরিচয়ের কারণে নানাভাবে বৈষম্যের শিকার ৮০টিরও অধিক সম্প্রদায়ের প্রায় ৭০ লাখ মানুষ সুইপার, ডোম, কানপুরী, তেলেগু, ঋষি, কাওরা, বেঁদে, রবিদাস, পৌন্ড্র, চা-শ্রমিক, নিকারী, শিকারীসহ পরিচয়ে বসবাস ও জীবন-যাপন করছে। এরা আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ভাবে বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার এবং সামাজিক ভাবে স্বীকৃত তথাকথিত কিছু নিচু পেশা গ্রহণে বাধ্য হয়।
নাগরিক উদ্যোগ বাংলাদেশের দলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষা এবং তাদের প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য লাঘবে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এই ধারাবাহিকতায় সংস্থাটি বাংলাদেশের দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর মানুষদের অধিকার সুরক্ষিত করা ও তাদের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘মানবাধিকার সুরক্ষা ও সহায়তার মাধ্যমে দলিত ও সামাজিক ভাবে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর দারিদ্র বিমোচন ও বিদ্যমান বৈষম্য লাঘব’ শিরোনামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি খুলনা জেলাসহ বাংলাদেশের ৯টি জেলায় বাস্তবায়ন হচ্ছে।
সরকারি পরিষেবায় দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অভিগম্যতা বৃদ্ধি এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের সাথে সমন্বয় ও যোগাযোগ শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে নাগরীক উদ্যোগের আয়োজনে মৌলিক অধিকার ও নাগরিক পরিষেবায় দলিত জনগোষ্টির অভিগম্যতা বিষয়ক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) দুুপুরে তালা উপজেলা প্রাণী সম্পদ প্রশিক্ষন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বি.ডি.ই.আর.এম) এর কেন্দ্রীয় কমিটি সহসভাপতি জয়ন্তী রানী মন্ডল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নিবার্হী অফিসার দীপা রানী সরকার। নাগরিক উদ্যোগ এর ফিল্ড কো-অডিনেটর জুয়েল সরকার’র পরিচালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক জুলফিকার রায়হান, অন্ত্যজ নেত্রী সোমা সরকার, স্বরসতী দাস, সুমিত্র সরকার প্রমুখ। সভায় অন্ত্যজ ও দলিত জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়নে নানান সমস্যা তুলে ধরে তা সমাধানের দাবী জানানো হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপা রানী সরকার সমস্যাগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস প্রদান করেন। সভায়- দলিত প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
