সাতক্ষীরা রাত ২:১১ সোমবার , ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ১৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
    1. অপরাধ
    2. অর্থনীতি
    3. আইসিটি
    4. আন্তর্জাতিক
    5. আশাশুনি
    6. উপকূল
    7. কলাম
    8. কলারোয়া
    9. কালিগঞ্জ
    10. কৃষি
    11. খুলনা
    12. খেলার খবর
    13. জাতীয়
    14. জেলার খবর
    15. জ্বালানি
    https://shoyaibenterprise.com/
    আজকের সর্বশেষ সবখবর

    কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ১বছর লাপাত্তা : প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

    mir khairul alam
    অক্টোবর ১৩, ২০২৫ ৯:২৯ অপরাহ্ণ
    Link Copied!

    আদম ব্যপারীর খপ্পড়ে পড়ে তালার দোহার গ্রামের একাধিক পরিবার দিশেহারা

    বি. এম. জুলফিকার রায়হান, তালা: তালার দোহার গ্রামের নজরুল সরদার’র ছেলে ফিরোজ হোসেন বাপ্পী এবং বজলু সরদার’র ছেলে তোফায়েল আহম্মেদ পলাশ শিক্ষিত বেকার। বিদেশে যেয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা যায়- এমন কথা শুনতে পান একই এলাকার ইমন সরদারের কাছ থেকে। এরপর ইমন সরদার তাদের একের পর এক প্রলুব্ধ করতে থাকে ইতালী যাবার জন্য। একপর্যায়ে বাপ্পী এবং পলাশের পিতা-মাতারা গ্রামের আম ব্যবসায়ী ইমন সরদারের কথায় বিশ^াস করে। তাদের ছেলেদের ইতালী পাঠিয়ে সন্তানদের বেকারত্ব দূরীকরণসহ সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। তাদের মতো গ্রামের আরও ৮জন ব্যক্তি তাদের সন্তানদের-ও আদম ব্যবসায়ী ইমনের মাধ্যমে ইতালী পাঠানোর জন্য রাজি হয়। এই ১০টি পরিবার তাদের সহায়-সম্বল যা ছিল তা’ বিক্রি করে ইমনের হাতে তুলে দেয় কোটি টাকা। এরপর থেকে আজ কাল করে ১০টি বেকার যুবকে ইতালী না পাঠিয়ে ইমন সরদার নানান প্রতারনা করতে থাকে। একপর্যায়ে গত প্রায় ১ বছর ধরে সকল ফোন নাম্বার বন্ধ রেখে গ্রাম থেকে লাপাত্তা হয়ে গিয়েছে ইমন সরদার। আর ১০টি পরিবার সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে পথে ঘুরছে। ইমনের পরিবারের কাছে টাকা উদ্ধারের জন্য অসহায় এই মানুষগুলো গেলে তাদের দেযা হয় হুমকি। হুমকিতে থাকা সম্পদ হারানো এই মানুষগুলো এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
    উপজেলার দোহার গ্রামের ভুক্তভোগী তোফায়েল আহম্মেদ পলাশ জানান, ইতালী জাযাবর জন্য একই গ্রামের হোসেন সরদার’র ছেলে ইমন সরদারের খপ্পড়ে পড়েন তিনি ও তাঁর পরিবার। একপর্যায়ে ইতালী যাবার জন্য ১৫লক্ষ টাকা চুক্তি করে ইমনকে বিভিন্ন সময়ে মোট ৮লক্ষ টাকা দেয়া হয়। এই টাকা যোগাড় করতে যেয়ে তার পিতাকে জমি সহ গরু এবং গাছপালা বিক্রি করতে হয়। অপর ভুক্তভোগী ফিরোজ হোসেন বাপ্পী বলেন, তার পিতা প্রতারক ইমনের কথায় বিশ^াস করে ১৫ লক্ষ টাকা চুক্তিতে জমি ও জায়গা বিক্রি করে প্রথমে ৬লক্ষ টাকা প্রদান করে। এভাবে সে গ্রামের আরও ৮জনের কাছ থেকে ৮০/৯০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
    ভুক্তভোগী পলাশ ও বাপ্পী বলেন, টাকা নেয়ার পর থেকে প্রতারক আদম ব্যপারী ইমন সরদার প্রত্যেকের কাছ থেকে পার্সপোর্ট নিয়ে নেয়। কিন্তু মাসের পর মাস পার হলেও সে কাউকে ভিসা দিতে পারেনি। একপর্যায়ে আজ-কাল করে ভিসা না দিয়ে নানান তালবাহার একপর্যায়ে প্রতারক ইমন সরদার আমাদের কাউকে ইতালী না পাঠিয়ে প্রায় ১কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছে। গত ১বছর ধরে তাকে বিভিন্ন স্থানে খুজলেও তার হদিস পাওয়া যাচ্ছেনা এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সবসময় বন্ধ থাকে। এবিষয়ে ইমনের বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোকজন গালিগালাজসহ বিভিন্ন ধরেনর হুমকি প্রদান করে। এঘটনার পর থেকে সহায়-সম্বল হারানো দরিদ্র মানুষগুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এব্যপারে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোসহ এলাকাবাসী প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।